ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বরাবরই বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই অন্যায়ভাবে কারও মতামত দমন বা চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করে না।
আজ রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমানে নিঃসন্দেহে গণমাধ্যম আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীন। তবে সমস্যা হচ্ছে, এখন এক সংবাদমাধ্যম আরেকটি সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে, যা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতেই পারে, কিন্তু সেই মত প্রকাশের কারণে কাউকে দমন বা সংবাদপত্র গুঁড়িয়ে দেওয়াটা সমর্থনযোগ্য নয়।”
তিনি দাবি করেন, “১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। সেই স্বাধীনতাই বিএনপি প্রথম পুনরুদ্ধার করে। আমরা নিখুঁত নই, কিন্তু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের শাসনামলে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন তুলনামূলকভাবে কম ছিল। আজকে দেশে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের চিন্তা ও মানসিকতা গণতান্ত্রিক হতে হবে। আমি যা বলি, সেটাই ঠিক—এমন মনোভাব চলতে পারে না। তেমনি কোনো সংবাদমাধ্যম যদি আমার বক্তব্য প্রচার করে তবেই ঠিক, না করলে ভুল—এই চিন্তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।”
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীসহ আরও অনেকে।