চার মাস পর লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এখন গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় বিশ্রামে আছেন। তবে দলীয় প্রধানকে একনজর দেখতে প্রতিদিনই ফিরোজার সামনে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গুলশানের ফিরোজার সামনে অবস্থান করে দেখা গেছে, বাসভবনের মূল ফটক ও আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) এবং পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারকে ফিরোজায় প্রবেশ করতে দেখা গেলেও, দলীয় বা বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে ফিরোজার সামনে আসেন দুই নারী—তাসলিমা বেগম ও ফাতেমা পান্না। তাঁরা বাগেরহাট থেকে ঢাকায় এসেছেন শুধু খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে। দুজনই বাগেরহাট পৌর মহিলা দলের নেত্রী। ছবি তোলা ও ভিডিও করার পাশাপাশি তাঁরা জানান, নেত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও যে বাসায় তিনি অবস্থান করছেন, সেটি একবার দেখতে চেয়েছেন।
ফাতেমা পান্না প্রথম আলোকে বলেন, “হয়তো ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হবে না। অন্তত যে বাড়িতে থাকেন, সেটা দেখে যাই। সাক্ষাতের সুযোগ পেলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারতাম না কী আনন্দ হতো!”
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এখন বাসায় বিশ্রামে আছেন। তিনি বলেন, ফিরোজার আশপাশে ভিড় না করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। পরে লন্ডনে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থাকাকালীনও চিকিৎসা চলতে থাকে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজায় পৌঁছাতে দুপুর ১টা ২৫ মিনিট লাগে। পথে পথে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান দলের হাজারো নেতা-কর্মী।