দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে সফল ব্যক্তিদের কাজের স্বীকৃতি জানাতে নতুন করে যাত্রা শুরু করলো ‘এক্সিলেন্স ইন সাকসেস অ্যাওয়ার্ড’। গত ২৬ মে রাজধানীর একটি চার তারকা হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই পুরস্কার প্রদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘ওয়ার্ল্ড অব ইউনিটি’। উদ্যোক্তা ঊর্মি ইসলাম জানান, দেশের প্রতিভাবান এবং নিষ্ঠাবানদের সম্মান জানাতেই এই আয়োজনের সূচনা।
অনুষ্ঠানের প্রথম বছরেই আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে দেশের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দিলারা জামানকে। এছাড়া চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী রোজিনা ও নূতন।
অভিনয়ের বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার হাতে তুলেছেন—
ওটিটিতে রুনা খান
চলচ্চিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদ ও শিরিন শিলা
টিভি নাটকে আশনা হাবিব ভাবনা ও স্বর্ণলতা দেবনাথ
থিয়েটারে সুষমা সরকার
সঙ্গীত বিভাগেও ছিল উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি।
সেরা সঙ্গীতশিল্পী হয়েছেন মনির খান ও আঁখি আলগমীর।
সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ খ্যাত সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
সেরা গীতিকারের স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক ও গীতিকার আল মাহমুদ মানজুর।
সাংবাদিকতা ও মডেলিং বিভাগেও দেওয়া হয়েছে সম্মাননা।
বিনোদন সাংবাদিকতায় সেরা হয়েছেন অনিন্দ্য মামুন (সমকাল) ও জাহিদুল ইসলাম (ডেইলি সান)।
টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন আলী আফতাব ভূইয়া (চ্যানেল ২৪)।
স্টাইলিশ সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কৃত হন আল মাসিদ রণ (বার্তা২৪.কম)।
সেরা মডেল হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন জেবা জান্নাত।
সেরা নৃত্যপরিচালক হয়েছেন জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী সোহেল রহমান।
পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল জমকালো ফ্যাশন শো, মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনা এবং সেলিব্রেটিদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল শুদ্ধতা ও পেশাদারিত্বের ছাপ, যা ভবিষ্যতে এই পুরস্কারকে দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননায় পরিণত করার প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলেছে।