ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শনিবার (৭ জুন) ভোর থেকে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র তুর্কী বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সিকে জানিয়েছে, গাজা শহরের সাবরা এলাকায় ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ছয় শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
উদ্ধারকারী দলগুলো আশঙ্কা করছে, নিহতের সংখ্যা ৩০ জনেরও বেশি হতে পারে। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
এদিকে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে একই পরিবারের চার সদস্যসহ ১২ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
অপরদিকে গাজা শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমান হামলায় আরো সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার উত্তরাঞ্চলের আল-সাফতাওয়ি পাড়ায় বেসামরিক নাগরিকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি কামানের গোলাবর্ষণে দুইজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে আবু শ্রেখ এলাকায় বিমান হামলায় আরো তিনজন নিহত হয়েছেন।
একই এলাকার আল-মুজাইদা জ্বালানি স্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে পৃথক হামলায় এক শিশুসহ আরো তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও রাফার পশ্চিমে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গাজায় বিতর্কিত নতুন ব্যবস্থার অধীনে মানবিক সহায়তা পেতে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে, ৫৮০ জনেরও বেশি আহত এবং নয়জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে আনাদোলুর এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে।